অনেক ক্যান্সার দেরীতে সনাক্ত হলেও জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থাতেই নির্ণয় সম্ভব। জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের জন্য ভায়া (VIA) ও স্তন ক্যান্সারের জন্য (CBE) কে স্ক্রীনিং কর্মসূচীর জন্য উপযোগী বিবেচনা করে সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও UNFPA- এর কারিগরি সহায়তায় ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচি সেবা সম্প্রসারিত করেছেন। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার এই প্রোগ্রামটি নির্বাচিত উপজেলাতে সম্প্রসারিত করতে শুরু করে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। প্রোগ্রামের দ্রুত উন্নয়ন, সমন্বয় সাধন, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের বিভিন্ন স্তরের সেবা প্রদানকারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়ন এবং স্ক্রীনিং কভারেজ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিএসএমএমইউ এ ‘জাতীয় জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপন করে (২০১২-২০১৮)। পরবর্তীতে প্রত্যেক স্ক্রীনিংকৃত মহিলার তথ্য সংরক্ষণ ও ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসা, ব্যবস্থাপনা ও ফলোআপ নিশ্চিত করতে এবং জনসংখ্যা ভিত্তিক স্ক্রীনিং প্রোগ্রাম (Organised Population based screening program) গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “ইলেক্ট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং প্রোগ্রাম (ইপিসিবিসিএসপি)” নামক একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করেছে (২০১৮-২০২৪)।
প্রকল্পের আওতায় ৩০-৬০ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলাদের ৫ বছর পর পর নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে VIA (Visual Inspection of cervix with Acetic acid) এবং CBE (Clinical Breast Examination) স্ক্রীনিং পরীক্ষার জন্য আহ্বান করা হয়। স্ক্রীনিং এ VIA পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হলে মহিলাদের কল্পোস্কোপ/মিনি- কল্পোস্কোপ দ্বারা মূল্যায়ন করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়। জরায়ু-মুখের ক্যান্সারপূর্ব অবস্থা সনাক্ত হলে একই ভিজিটে চিকিৎসা (“দেখা এবং চিকিৎসা”/ “See and treat”) সম্ভব।